প্রথমবারের মত বিজ্ঞানীরা এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তির নিকটে মানসিক বার্তা প্রেরণে সক্ষম হয়েছেন। দুই ব্যক্তির একজন ছিলেন ফ্রান্সে, আরেকজন ৭ হাজার তিন শো কিলোমিটার দূরে, ভারতে। গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে PLOS ONE জার্নালে। খবরটি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তারিখের।
প্রসঙ্গত, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে টেলিপ্যাথি বা ব্রেইন থেকে ব্রেইনে শব্দ ছাড়া এমনকি পঞ্চনেন্দ্রিয় ব্যবহার না করেই কথা বলা একটি প্রচলিত রীতি।
গবেষণাটি চালান হার্ভাড ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ। তারা দেখান যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক ব্যক্তির ব্রেইন থেকে আরেকজনের ব্রেইনে তথ্য প্রেরণ করা যায়, এমনকি যদি তারা অবস্থান করেন হাজার মাইল দূরেও।
গবেষণার সহ-লেখক ও তাত্ত্বিক পদার্থিবিদ গুলিমো রাফিনি বলেন, "টেলিপ্যাথি স্বপ্নকে প্রযুক্তির সত্যায়ন এটি, কিন্তু এটা অবশ্যই যাদু নয়"। তিনি বলেন, "আমরা ব্রেইনের সাথে তড়িৎ-চৌম্বক প্রক্রিয়ায় সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছি।"
পরীক্ষার জন্য একজন মানুষ তারবিহীন (Wireless), ইন্টারনেট সংযুক্ত ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম (electroencephalogram) বা ইইজি পরিধান করে কোন সম্ভাষণ শব্দ চিন্তা করেন যেমন 'হ্যালো'।
শব্দকে পরে কম্পিউটার ০ ও ১ দ্বারা গঠিত ডিজিটাল বাইনারি (বা দ্বিমিক) কোডে রূপান্তরিত করে। এরপর বার্তাটিকে ভারত থেকে ফ্রান্সে ইমেইল করা হয় এবং রোবটের মাধ্যমে প্রাপকের কাছে পৌঁছানো হয়। প্রাপক অক্ষতিকর মস্তিষ্ক উদ্দীপনার (Stimulation) মাধ্যেমে আলোর ঝলক দেখেন।
এখানে, প্রাপক নিজে বার্তা শোনেন না বা দেখেন না, কিন্তু বার্তার প্রতিনিধিত্বকারী আলোক ঝলক (Flash) সঠিকভাবে অনুধাবণ ধরতে পারেন।
হার্ভাড মেডিকেল স্কুলের স্নায়ুবিদ্যার (Neurology) প্রফেসর ও সহ-লেখক আলভারো লিওন বলেন, "আমরা বুঝতে চেয়েছিলাম, ব্রেইনের কর্মকাণ্ড পাঠ করে প্রচলিত যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বড় দূরত্বে তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে এবং তথ্য ঢুকিয়ে দিতে পারেন কিনা।"
"এমন একটি মাধ্যম অবশ্যই ইন্টারনেট, তাই আমাদের প্রশ্ন দাঁড়াল, 'ইন্টারনেটে কথা বলা বা টাইপিং পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে বহু দূরে অবস্থিত ব্যক্তির সাথে সরাসরি ব্রেইন থেকে ব্রেইনে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা'''
রাফিনি আরো বলেন যে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়েছিল যাতে কোন সংবেদী (Sensory) তথ্য মাঝপথে এসে পড়ে বার্তার রূপান্তরকে প্রভাবিত করতে না পারে।
এক দশক ধরে গবেষকরা এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে বার্তা প্রেরণ করতে চেষ্টা করছিলেন। এখন যে সফলতা পাওয়া গেছে তা এখনও প্রাথমিক দশায় রয়ে গেছে।
রাফিনি আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে এটা আমাদের যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন সাধন করবে।
সূত্রঃ
১. দি টেলিগ্রাফ অনলাইন
২. বিবিসি
প্রসঙ্গত, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে টেলিপ্যাথি বা ব্রেইন থেকে ব্রেইনে শব্দ ছাড়া এমনকি পঞ্চনেন্দ্রিয় ব্যবহার না করেই কথা বলা একটি প্রচলিত রীতি।
গবেষণাটি চালান হার্ভাড ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ। তারা দেখান যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক ব্যক্তির ব্রেইন থেকে আরেকজনের ব্রেইনে তথ্য প্রেরণ করা যায়, এমনকি যদি তারা অবস্থান করেন হাজার মাইল দূরেও।
গবেষণার সহ-লেখক ও তাত্ত্বিক পদার্থিবিদ গুলিমো রাফিনি বলেন, "টেলিপ্যাথি স্বপ্নকে প্রযুক্তির সত্যায়ন এটি, কিন্তু এটা অবশ্যই যাদু নয়"। তিনি বলেন, "আমরা ব্রেইনের সাথে তড়িৎ-চৌম্বক প্রক্রিয়ায় সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছি।"
পরীক্ষার জন্য একজন মানুষ তারবিহীন (Wireless), ইন্টারনেট সংযুক্ত ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম (electroencephalogram) বা ইইজি পরিধান করে কোন সম্ভাষণ শব্দ চিন্তা করেন যেমন 'হ্যালো'।
শব্দকে পরে কম্পিউটার ০ ও ১ দ্বারা গঠিত ডিজিটাল বাইনারি (বা দ্বিমিক) কোডে রূপান্তরিত করে। এরপর বার্তাটিকে ভারত থেকে ফ্রান্সে ইমেইল করা হয় এবং রোবটের মাধ্যমে প্রাপকের কাছে পৌঁছানো হয়। প্রাপক অক্ষতিকর মস্তিষ্ক উদ্দীপনার (Stimulation) মাধ্যেমে আলোর ঝলক দেখেন।
এখানে, প্রাপক নিজে বার্তা শোনেন না বা দেখেন না, কিন্তু বার্তার প্রতিনিধিত্বকারী আলোক ঝলক (Flash) সঠিকভাবে অনুধাবণ ধরতে পারেন।
হার্ভাড মেডিকেল স্কুলের স্নায়ুবিদ্যার (Neurology) প্রফেসর ও সহ-লেখক আলভারো লিওন বলেন, "আমরা বুঝতে চেয়েছিলাম, ব্রেইনের কর্মকাণ্ড পাঠ করে প্রচলিত যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বড় দূরত্বে তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে এবং তথ্য ঢুকিয়ে দিতে পারেন কিনা।"
"এমন একটি মাধ্যম অবশ্যই ইন্টারনেট, তাই আমাদের প্রশ্ন দাঁড়াল, 'ইন্টারনেটে কথা বলা বা টাইপিং পদ্ধতিকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে বহু দূরে অবস্থিত ব্যক্তির সাথে সরাসরি ব্রেইন থেকে ব্রেইনে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা'''
রাফিনি আরো বলেন যে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়েছিল যাতে কোন সংবেদী (Sensory) তথ্য মাঝপথে এসে পড়ে বার্তার রূপান্তরকে প্রভাবিত করতে না পারে।
এক দশক ধরে গবেষকরা এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে বার্তা প্রেরণ করতে চেষ্টা করছিলেন। এখন যে সফলতা পাওয়া গেছে তা এখনও প্রাথমিক দশায় রয়ে গেছে।
রাফিনি আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে এটা আমাদের যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন সাধন করবে।
সূত্রঃ
১. দি টেলিগ্রাফ অনলাইন
২. বিবিসি