পরবর্তী দুই দশকের ভেতরেই সমস্ত মেমোরি বা স্মৃতিসহ মানুষের ব্রেইন ব্যাক আপ করে রাখা যাবে বলে মত দিলেন একজন শীর্ষ বিজ্ঞানী। তিনি হলেন বিজ্ঞানী রেইমন্ড কার্যওয়েল। কার্যওয়েল সাহেব কণ্ঠ শনাক্তকরণ প্রযুক্তিসহ অনেকগুলো দারুণ দারুণ আবিষ্কার করেছেন। ২০১২ সাল থেকে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা নিয়ে গবেষণা করছেন গুগলে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় 'ফিউচার টক' নামক অনুষ্ঠানে ৫০০ অতিথির সামনে তিনি তাঁর মত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই কাজটি এখনই টেকনিক্যালি সম্ভব।
তিনি বলেন, " আমার বিশ্বাস, আগামী ২০ বছরের মধ্যেই আমাদের রক্তে হাজার হাজার ন্যানোবট কম্পিউটার মেশিন থাকবে। এগুলো আমাদের রোগ সারাবে, দক্ষতা বাড়াবে এমনকি আমাদের মস্তিষ্কের সমস্ত উপাদান ব্যাক আপ রাখতেও সক্ষম হবে যে কাজটা এখন আমরা করি কম্পিউটার ফাইলের ক্ষেত্রে।
' এর মানে হচ্ছে, এই ন্যানোবটগুলো প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি অভিজ্ঞতাসহ একজন লোক যা যা করতে পারে তার সবকিছু সংরক্ষণ করবে।"
"মনে হতে পারে, এটা বেশ বাড়াবাড়ি রকমের ভাবনা, কিন্তু উনিশ শত আশির দশকে মানুষ ভাবত ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের (www) আবির্ভাব বিষয়ক আমার পূর্বানুমানও ছিল নিছক পাগলামি। কিন্তু আমি যা ধারণা করলাম, তাই ঘটল এবং আমার বলে দেওয়া দিন তারিখও ঠিক থাকল।"
১৫ বছর বয়স থাকতেই এই প্রতিভাবান বিজ্ঞানী এমন এক প্রোগ্রাম তৈরি করেন যা কম্পোজারের আকারে মিউজিকের নতুন রূপদানে সক্ষম হয়। এই আবিষ্কার তাঁকে হোয়াইট হাউজে যাবার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিনডন বি জনসনের সাথে দেখা করবার সুযোগ করে দেয়।
অন্ধদের জন্য লিখিত বক্তব্য পাঠকারী যন্ত্র প্রথম তিনিই উদ্ভাবন করেন। তাঁর বন্ধু স্টিভ ওনডারের খাতিরে কাজটি করে পরে তিনি বৈপ্লবিক মিউজিক সিনথেসাইজারও বানান।
জনাব কার্যওয়েলের ১৯টি সম্মান্সূচক ডক্টরেট আছে। সারা বিশ্বে তিনি প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যাপারে সরকার, বিজ্ঞানী, সামরিক বাহিনী ও ব্যবসায়ীদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।
বৈশ্বিক এনার্জি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বর্তমানে তিনি গুগলের হয়ে কাজ করছেন।
সূত্রঃ
১. ডেইলিমেইল
২. উইকিপিডিয়ায় রেইমন্ড কার্যওয়েল
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় 'ফিউচার টক' নামক অনুষ্ঠানে ৫০০ অতিথির সামনে তিনি তাঁর মত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই কাজটি এখনই টেকনিক্যালি সম্ভব।
![]() |
হিউম্যান ব্রেইন |
তিনি বলেন, " আমার বিশ্বাস, আগামী ২০ বছরের মধ্যেই আমাদের রক্তে হাজার হাজার ন্যানোবট কম্পিউটার মেশিন থাকবে। এগুলো আমাদের রোগ সারাবে, দক্ষতা বাড়াবে এমনকি আমাদের মস্তিষ্কের সমস্ত উপাদান ব্যাক আপ রাখতেও সক্ষম হবে যে কাজটা এখন আমরা করি কম্পিউটার ফাইলের ক্ষেত্রে।
' এর মানে হচ্ছে, এই ন্যানোবটগুলো প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি অভিজ্ঞতাসহ একজন লোক যা যা করতে পারে তার সবকিছু সংরক্ষণ করবে।"
"মনে হতে পারে, এটা বেশ বাড়াবাড়ি রকমের ভাবনা, কিন্তু উনিশ শত আশির দশকে মানুষ ভাবত ৯০ দশকের মাঝামাঝিতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের (www) আবির্ভাব বিষয়ক আমার পূর্বানুমানও ছিল নিছক পাগলামি। কিন্তু আমি যা ধারণা করলাম, তাই ঘটল এবং আমার বলে দেওয়া দিন তারিখও ঠিক থাকল।"
১৫ বছর বয়স থাকতেই এই প্রতিভাবান বিজ্ঞানী এমন এক প্রোগ্রাম তৈরি করেন যা কম্পোজারের আকারে মিউজিকের নতুন রূপদানে সক্ষম হয়। এই আবিষ্কার তাঁকে হোয়াইট হাউজে যাবার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিনডন বি জনসনের সাথে দেখা করবার সুযোগ করে দেয়।
অন্ধদের জন্য লিখিত বক্তব্য পাঠকারী যন্ত্র প্রথম তিনিই উদ্ভাবন করেন। তাঁর বন্ধু স্টিভ ওনডারের খাতিরে কাজটি করে পরে তিনি বৈপ্লবিক মিউজিক সিনথেসাইজারও বানান।
![]() |
রেইমন্ড কার্যওয়েল |
বৈশ্বিক এনার্জি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বর্তমানে তিনি গুগলের হয়ে কাজ করছেন।
সূত্রঃ
১. ডেইলিমেইল
২. উইকিপিডিয়ায় রেইমন্ড কার্যওয়েল